চারজন সন্ন্যাসী দু সপ্তাহের জন্য কোনো কথা না বলে নীরবে ধ্যান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের ধ্যান শুরু করলেন।
প্রথম দিনের শেষরাতে তাদের মোমবাতি মিটমিট করে জ্বলতে লাগলো এবং একটুপরে নিভে গেলো।
১ম সন্ন্যাসী বললেন: "ওহ, না! মোমবাতিটি নিভে গেলো।"
২য় সন্ন্যাসী বললেন: "আমাদের কথা বলার কথা ছিল না!"
৩য় সন্ন্যাসী বললেন: "তোমাদের দুজনকে নীরবতা কেন ভাঙতে হল?"
৪র্থ সন্ন্যাসী হেসে বললেন: "হ্যাঁ, আমিই একমাত্র যে কথা বলে নি।"
তাদের কথার ৯৫ ভাগই দুইটা বিষয়কে কভার করে:
১। যে লোকটার মুখ খোলা এবং
২। কিছু বিষয় যেগুলো আমাদের ক্ষমতার বাইরে
১ম সন্ন্যাসীর মনোযোগ নষ্ট হয় বাইরের একটি ঘটনায় এবং বাকিদের জানানোর তাড়না বোধ করেন। তিনি মোমবাতিটি আবার জ্বালিয়ে দিলেই পারতেন।
২য় সন্ন্যাসী সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে তারা সবাই নিয়ম ভেঙেছেন। তিনি ধ্যান করে যেতেই পারতেন।
৩য় সন্ন্যাসী তার রাগ দেখালেন। তিনি চুপচাপ থাকতেই পারতেন।
৪র্থ সন্ন্যাসী তার ইগোর তাড়নায় পড়লেন। তিনি নীরবে তার সফলতা উপভোগ করতে পারতেন।
চারজন সন্ন্যাসীর মধ্যে মিল এখানেই যে তারা সকলে তাদের চটজলদি ভাবনা কোনরকম পরিবর্তন না করেই শেয়ার করেছেন, যার কোনটায় পরিস্থিতি পাল্টাতে সাহায্য করে নি। যদি ৫ম কোন জ্ঞানী সন্ন্যাসী থাকত, তবে তিনি বলতেনঃ "নীরব থাকো এবং ধ্যান করে যাও।"
এভাবেই তিনি বেশিকথা না বলে বাকি চারজন সন্ন্যাসীর ভুল ধরিয়ে দিতেন। যতই বেশি কথা বলবেন, বোকার মত কিছু বলার সম্ভাবনাও ততই বাড়বে।
যত কম কথা বলবেন, তত বেশি শুনতে পারবেন। যত বেশি শুনবেন, তত বেশি শিখতে পারবেন।
যখন কথা বলবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার সত্যিই কথা বলার দরকার পড়ছে ততক্ষণে পরিস্থিতি বুঝে নিতে পারবেন। তখনি কথা বলুন যখন আপনার বলা কথার একটা ইতিবাচক ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব থাকবে, কেননা নীরবতায় জ্ঞানের চর্চা চলে।
যত কম কথা বলবেন, তত বেশি বুদ্ধিমান হবেন। আর খুব সম্ভবত দুর্ঘটনাবশত নয়- যত বুদ্ধিমান হবেন, তত কম কথা বলবেন।
Last Answer Below
Login to Comment Here
হাসাইন হোসেন
চারজন সন্ন্যাসী দু সপ্তাহের জন্য কোনো কথা না বলে নীরবে ধ্যান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তারা একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের ধ্যান শুরু করলেন। প্রথম দিনের শেষরাতে তাদের মোমবাতি মিটমিট করে জ্বলতে লাগলো এবং একটুপরে নিভে গেলো। ১ম সন্ন্যাসী বললেন: "ওহ, না! মোমবাতিটি নিভে গেলো।" ২য় সন্ন্যাসী বললেন: "আমাদের কথা বলার কথা ছিল না!" ৩য় সন্ন্যাসী বললেন: "তোমাদের দুজনকে নীরবতা কেন ভাঙতে হল?" ৪র্থ সন্ন্যাসী হেসে বললেন: "হ্যাঁ, আমিই একমাত্র যে কথা বলে নি।" তাদের কথার ৯৫ ভাগই দুইটা বিষয়কে কভার করে: ১। যে লোকটার মুখ খোলা এবং ২। কিছু বিষয় যেগুলো আমাদের ক্ষমতার বাইরে ১ম সন্ন্যাসীর মনোযোগ নষ্ট হয় বাইরের একটি ঘটনায় এবং বাকিদের জানানোর তাড়না বোধ করেন। তিনি মোমবাতিটি আবার জ্বালিয়ে দিলেই পারতেন। ২য় সন্ন্যাসী সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে তারা সবাই নিয়ম ভেঙেছেন। তিনি ধ্যান করে যেতেই পারতেন। ৩য় সন্ন্যাসী তার রাগ দেখালেন। তিনি চুপচাপ থাকতেই পারতেন। ৪র্থ সন্ন্যাসী তার ইগোর তাড়নায় পড়লেন। তিনি নীরবে তার সফলতা উপভোগ করতে পারতেন। চারজন সন্ন্যাসীর মধ্যে মিল এখানেই যে তারা সকলে তাদের চটজলদি ভাবনা কোনরকম পরিবর্তন না করেই শেয়ার করেছেন, যার কোনটায় পরিস্থিতি পাল্টাতে সাহায্য করে নি। যদি ৫ম কোন জ্ঞানী সন্ন্যাসী থাকত, তবে তিনি বলতেনঃ "নীরব থাকো এবং ধ্যান করে যাও।" এভাবেই তিনি বেশিকথা না বলে বাকি চারজন সন্ন্যাসীর ভুল ধরিয়ে দিতেন। যতই বেশি কথা বলবেন, বোকার মত কিছু বলার সম্ভাবনাও ততই বাড়বে। যত কম কথা বলবেন, তত বেশি শুনতে পারবেন। যত বেশি শুনবেন, তত বেশি শিখতে পারবেন। যখন কথা বলবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার সত্যিই কথা বলার দরকার পড়ছে ততক্ষণে পরিস্থিতি বুঝে নিতে পারবেন। তখনি কথা বলুন যখন আপনার বলা কথার একটা ইতিবাচক ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব থাকবে, কেননা নীরবতায় জ্ঞানের চর্চা চলে। যত কম কথা বলবেন, তত বেশি বুদ্ধিমান হবেন। আর খুব সম্ভবত দুর্ঘটনাবশত নয়- যত বুদ্ধিমান হবেন, তত কম কথা বলবেন।
19:47:00 pm 06-12-2020Login to Comment Here